Thursday, June 27, 2019

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার আগে ১০ ভুল!

দেখে নাও কোন দশটি ভুল ভর্তি পরীক্ষায় আগে আমাদের হয়ে থাকে ও এগুলো থেকে দূরে থাকো→

('প্রথম আলো'র 'স্বপ্ন নিয়ে' হতে সংগৃহীত)

Note: ইমেজটি ডাউনলোড করে ওপেন করুন ও জুম করে পড়ুন; আর তাতে ভালো দেখা না গেলে ভিউ করার পর জুম করে দেখুন।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Sunday, May 5, 2019

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সম্পর্কিত ভুল ধারণাসমূহ ও বাস্তবতা!


আমাদের অধিকাংশের ধারণা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য যা যা লাগে সব দেবে। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ব্যক্তিগতভাবে তোমার যা যা জানা ও শেখা দরকার তা কোচিং তোমাকে দেবে না, বরং তাদের ব্যবসা করার জন্য যা যা করা দরকার তা তারা করবে। এর উপরে আবার আছে কিছু সাদুরূপধারী অসৎ কোচিং যারা তাদের ব্যবসায় জন্য ধোঁকানীতি প্রয়োগ করে থাকে। এই লেখায় সেসবই বিস্তারিত বলবো।

প্রথমেই বলি কোচিংয়ে আসলে কী হয় সেই বিষয়ে। অধিকাংশ কোচিংয়ে প্রতি ঘণ্টায় একটা করে ব্যাচ পড়ানো হয়। আর এক ব্যাচের উঠে চলে যাওয়া ও অন্য ব্যাচের সিটে বসা এই কাজে ব্যয় হয় ৫ মিনিট। আর বসার পর পূর্ববর্তী শিটের উপর ২৫টি এমসিকিউ এর একটি মডেল টেস্ট নেওয়া হয় তাতে সময় দেওয়া হয় ১৫ মিনিট। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয় এবং সেই টেস্টে কে কত মার্ক পেলো তা আবার নাম ধরে ধরে কল করে এন্ট্রি করা হয়, এতে সময় যায় ১০ মিনিট। তাহলে টিচার পড়ানোর জন্য সময় পায় ৩০ মিনিট। এখন কথা হলো এই ৩০ মিনিট টিচার কী পড়ায়? আসলে এই ৩০ মিনিটে টিচার একটা হালকাপাতলা আলোচনা করে চলে যায় যা বুঝলে ভালো, না বুঝলে হাম্বা। নিজে কোনো একটা বিষয় না বুঝলে তা প্রশ্ন করে জেনে নেওয়ার মতো পরিবেশ ও সুযোগ সেখানে থাকে না। আর ক্লাস হয় সপ্তাহে ৩ দিন। ফলে সপ্তাহে তারা পাঠদান করে ৯০ মিনিট বা দেড় ঘন্টা।

অল্প কিছু ভালো কোচিং আছে যেগুলো প্রাই সবই সায়েন্সের। মানবিক সেক্টরটা হলো ধোঁকাবাজি ব্যবসার বড় সুবিধাস্থল; তারা ভালো শিক্ষক ও বেশি সময় দিয়ে না পড়িয়ে বরং একগাদা শিট ও গাইড ধরিয়ে দেয় ও প্রতিদিন মডেল টেস্ট নেয়। কারো কিছু জানার ঘাটতি থাকলে তা আর জানা বা শেখা সম্ভব হয় না। তাহলে কোচিংয়ের ক্রেডিট কোথায়? মডেল টেস্ট আর গাইড তো বাজার থোকেই কেনা যায়।

প্রাপ্ত তথ্যমতে সায়েন্স এর জন্য উদ্ভাস ও রেটিনা ভালো, আর্টস এর জন্য ফোকাস ভালো। কমার্স এর বিষয়ে ভালো এমন এককভাবে কেউ নাই। UCC এর কিছুই ভালো নয়, তার মূলত পরিচয় কিনে থাকে।

পরিচয় কেনা তথা ধোঁকানীতি বিষয়টা ক্লিয়ার করি। এই নীতিতে অসৎ উপায় অবলম্বন করে কোচিংয়ের প্রচারণার জন্য ভালো ছাত্রদের পরিচয় কেনা হয়। আর এই পরিচয় কেনা হয় দুইভাবে।
প্রথমত, তারা ঢাকায় তাদের মেইন শাখায় নটরডেম ও অন্যান্য কলেজের কিছু ভালো ছাত্রদের নিয়ে কয়েকটি স্পেশাল ব্যাচ বানিয়ে তাদেরকে আবাসিক সুবিধাসহ আলাদাভাবে অনেক সময় নিয়ে পড়ায় আর এরা ০১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে সিরিয়ালে থেকে চান্স পেলে তাদের ছবি বিজ্ঞাপনে দেয়। এভাবে দেশজুড়ে ছাত্রদের মন ভুলিয়ে ভর্তি নেয় কিন্তু ভালো পড়ায় না।
দ্বিতীয়ত, ঢাবির বিভিন্ন ইউনিটে ১ম থেকে ২০ তম স্থান অধিকারীদেরকে টাকা দিয়ে তাদের পরিচয় কিনে নেওয়া যে সে তাদের কোচিংয়ে পড়েছিল। টাকা দিয়ে তাদের কাছে থেকে একটি ফরম পূরণ করে নেবে ও ছবি নেবে। আর এটাকে তারা প্রমাণ হিসেবে দেখাবে যে অমুক তাদের ছাত্র ছিল।

কিছু অসৎ কোচিং বন্ধ করে দেওয়া দরকার এবং সবার আগে UCC বাতিল করা দরকার, ফালতু কোচিং। ২০১১ সালে ইংলিশ এর ১২টা শিট পড়ে মাত্র ২টা প্রশ্ন কমন পেয়েছিলাম DU এর "খ" ইউনিটে। অথচ সেই বছর English for Today (For Classes XI-XII) বোর্ড বই এর পড়ার লাইন হতে হুবহু ১২টি প্রশ্ন কমন ছিল, কিন্তু আমি সেটা পড়ার সময় পাইনি; UCC এর ফালতু শিট পড়ে সময় নষ্ট করেছি। যারা আবেগের বশে নাম ধাম দেখে UCC তে ভর্তি হয় তারা রামধরা খায়।
সরকার বন্ধ না করলেও আপনারা পাবলিকলি এসব কোচিংকে বয়কট করুন।

এবার আসি কোচিং এর গাইড ও শিট এর বিষয়ে। তার আগে একটা গল্প বলি। অনেক সময় গ্রামে যখন গরুর ডাক্তার আনা হয় ডাক্তার দেখে যে রোগ তেমন গুরুতর কিছু নয়, একটা ট্যাবলেট তিনবার করে দুইদিন খাওয়ালেই রোগ সেরে যাবে, তখন সে যদি ট্যাবলেটের নাম কাগজে লিখে দিয়ে বলে এটা এনে খাওয়ান, তাহলে গরুর মানিক ভাববে ওটা কী এমন চিকিৎসা দিল, ফলে সে বেশি ভিজিট দিতে চাইবে না। তাই ডাক্তার কৌশল করে একটা ভিটামিন ইনজেকশন দেয়; তখন গরুম মালিক ভাবে ইনজেকশন দিয়েছে, টাকা তো বেশি দিতেই হবে।
কোচিং এর ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই ঘটে থাকে। তারা যদি বলে লাইব্রেরি থেকে অমুক অমুক বই কিনে পড়েন, তাহলে তাদের নিজের আর থাকলো কী? এই পরামর্শের জন্য তো আপনি তাদেরকে বেশি টাকা দিতে চাইবেন না, তাই তারা ইয়া মোটা গাইড ও গাদা গাদা শিট তৈরি করে।

সত্য কথা হলো কোচিং তোমাকে কখনও নিরপেক্ষ পরামর্শ দিবে না, তারা তোমাকে যে পরামর্শ দিবে সেটা হলো তাদের ব্যবসায়ী পরামর্শ। তাই পরামর্শ নিতে চাইলে ভার্সিটি পড়ুয়া কোনো ভাইয়া/ আপুর কাছে পরামর্শ নাও; তারা তোমাকে নিরপেক্ষ ও বাস্তব পরামর্শ দিবে।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Tuesday, February 12, 2019

এসএসসি কিংবা এইচএসসি ফরমপূরণে বেশি টাকা নিলে করনীয়!


শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে SSC কিংবা HSC পরীক্ষার ফরমপূরণে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি এর চেয়ে বেশি টাকা নিলে ১০৬ তে কল করে দুদক টিম কে অবহিত করুন। বিস্তারিত তথ্য ফটো পোস্টে→

ভালো থাকুন | School of Awareness

Tuesday, February 5, 2019

১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে ইউজিসির পরামর্শ!


উচ্চশিক্ষায় ভর্তিকে সামনে রেখে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সতর্ক করে মামলা-মোকদ্দমা, মালিকানায় দ্বন্দ্বসহ নানা সমস্যা থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। রোববার ইউজিসির ওয়েবসাইটে এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা থাকার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য ৫টি নতুন, যেগুলোতে এখনো ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক পরিচালক মোহাম্মদ সামছুল আলম বলেন, আমরা সতর্কতার জন্য এ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা এগুলো দেখে যেন ভর্তি হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-
ইবাইস ইউনিভার্সিটিতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। এ নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা আছে।
সরকার বন্ধ করলেও আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে চলছে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও কুইন্স ইউনিভার্সিটি। এর মধ্যে কুইন্সকে এক বছরের জন্য সাময়িকভাবে শর্তসাপেক্ষে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হলেও তারা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। এটিতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে মামলা চলছে।

অননুমোদিত ক্যাম্পাস চালাচ্ছে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং। এর মধ্যে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব ও আদালতে মামলা বিচারাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইবাইস ছাড়াও আছে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি অনুমোদন পেলেও শিক্ষা কার্যক্রম বা ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়নি। এগুলো হলো; কুষ্টিয়ার রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-ঢাকা, কেরানীগঞ্জের রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের রূপায়ণ এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আনোয়ার খান মর্ডান ইউনিভার্সিটি। এগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় সরকার বন্ধ ঘোষণা করেছে।

আর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি না হতে কমিশন থেকে গত ২৬ এপ্রিল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিবাদী করে রিট দায়ের করলেও আদালত তা খারিজ করে দেন। পরে গণ বিশ্ববিদ্যালয় আবারও রিট করে। ইউজিসি জানিয়েছে আদালত থেকে মামলার আরজি উঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ৪ জুন আইনজীবীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা, ক্যাম্পাস, স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনার অনুমতি দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি। এ জন্য কোনো বিদেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে প্রতারণার শিকার না হতে সতর্ক করেছে ইউজিসি।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি ডিফেন্সিভ পরামর্শ!


যারা একটু সেইরকম অবস্থানে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিবেন এবং পরীক্ষার সিট কোনো এক অখ্যাত/ নিম্নমানের স্কুল, কলেজে পড়বে তাদের জন্য এই উপদেশ।

একটি ক্লিববোর্ড (হার্ডবোর্ড) সঙ্গে নিয়ে যাবেন। যাদের লাইফে ভাগ্যের বিড়ম্বনা বেশি ঘটে তারা অবশ্যই এটি করবেন। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আমি যে অখ্যাত কলেজের যে ব্রেঞ্চে বসে এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বেরোবি'তে চান্স পেয়েছি সেই ব্রেঞ্চে বসে আমি ওএমআর শিটই পূরণ করতে পারতাম না, চান্স দূরে থাক, কারণ সেই ব্রেঞ্চের স্ল্যাটের উপরটা ছিল উইপোকায় খাওয়া স্থান যা তাল গাছের বাকলের মতো অমসৃণ। পেরেছি কারণ আমি এডমিশনের সময় সকল পরীক্ষায় ক্লিপবোর্ড সঙ্গে নিয়ে যেতাম।

আর যদি পরীক্ষার সিট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরেই পড়ে কিংবা শহরের নামকরা স্কুল-কলেজে পড়ে তাহলে এর দরকার হবে না, সেখানে সবকিছু ঠিকঠাক মতোই থাকবে।

ফেসবুকে এই পোস্টটিতে একজন মন্তব্য করেছিল— ভাই, পরীক্ষার হলে তো ক্লিপবোর্ড ব্যবহার করতে দেয় না।
আরে ভাই, যেসব স্থানে ক্লিপবোর্ড ব্যবহারের দরকার নাই শেখানে তো দিবেই না। আমি তো বলেই দিয়েছি যাদের পরীক্ষার সিট নিম্নমানের প্রতিষ্ঠানে পড়বে ও নিজের ভাগ্যের বিড়ম্বনাময় বৈশিষ্ট্য আছে শুধু তারাই এটা করতে পারেন।

আর পৃথিবীটা এখনও এতোটা অমানবিক হয়ে যায়নি যে শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত লোকেরা তোমার অসুবিধাটা বুঝবে না। হয়তো প্রথমে তারা ফোন জমা নেওয়ার মতে ক্লিপবোর্ডও জমা নিয়ে সিটে বসতে দিবে, আর যদি একান্তই সেই জাতীয় সমস্যা হয় তাহলে সাহায্য চাইবে; তারা অবশ্যই তোমার সমস্যাটি বিবেচনা করে তা সমাধান করবে। তার দৃষ্টান্ত আমি নিজেই।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Friday, February 1, 2019

বোর্ড পরীক্ষার খাতা হাতে পাওয়ামাত্র চেক করে দেখো ভেতরে কোনো পাতা ছেঁড়া-ফাটা আছে কি না!


SSC, HSC ও অন্যান্য বোর্ড পরীক্ষার খাতা তোমার হাতে পাওয়ামাত্র খাতাটির সবগুলো পাতা দ্রুত চেক করে দেখো ভেতরে কোনো পাতা ছেঁড়া-ফাটা আছে কি না! কারণ অনেক সময় দেখা যায় ভেতরে এরূপ ছেঁড়া পাতাওয়ালা খাতায় পরীক্ষা দিলে পরীক্ষা প্রশাসন পরবর্তীতে তা প্রত্যক্ষ করলে এটাকে অসদুপায় হিসেবে বিবেচনা করে তোমার খাতাটি বাতিল করতে পারে; অথচ সেখানে তুমি নির্দোষ ছিলে। আর এর ফলে তুমি ওই বিষয়টিতে ফেল করবে।

এক্ষেত্রে তুমি কোনো আইনগত সুবিধা পাবে না। তাই একমাত্র সচেতনতাই পারে এই দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে।

আর এরূপ হলে সঙ্গে সঙ্গে ওই খাতাটি ফেরৎ দিয়ে কক্ষ পরিদর্শক এর কাছ থেকে অন্য একটি ফ্রেস খাতা নিবে। আমি ২০০৯ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সময় এই সমস্যায় পড়েছিলাম। খাতার উপরে রোল-রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য তথ্য পূরণ করার পর কয়েকটা পাতা মার্জিন দেওয়ার পর দেখি পরপর দুইটা পাতা আধাছেঁড়া। এমনভাবে আলতো হয়ে আটকে আছে দেখে মনে হবে অন্য পাতা আঠা দিয়ে কোনোমতে জোড়া দেওয়া হয়েছে; ছেঁড়া টাকায় আঠা লাগিয়ে কোনোমতে জোড়া লাগানোর মতো আর কী। আমি যখন এটি কক্ষ পরিদর্শককে জানালাম তখন দুইজন কক্ষ পরিদর্শক এটা নিয়ে আলোচনা করতে লাগলো; শেষে তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে কেন্দ্রের ইন্সপেক্টকে বিষয়টি জানালো ও পরে আমাকে অন্য একটি ফ্রেস খাতা দেওয়া হলো; আমি আবার সেটাতে রোল-রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি পূরণ করে পরীক্ষা দেওয়া শুরু করলাম। এতে আমি সম্ভাব্য দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলাম কিন্তু এর ফলে আমার যে পনেরো মিনিটের মতো সময় অযথা ব্যয় হলো তার তো সমাধান পেলাম না। তাই তোমরা পরীক্ষার হলে খাতা হাতে পাওয়ামাত্র দ্রুত খাতার পাতাগুলো চেক করে দেখবে, আর এরূপ কোনো সমস্যা হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিবে।

Note: লেখাটি কপি-পেস্ট করে তথ্যটি শেয়ার করুন পাশাপাশি আপনার আশেপাশের এসএসসি/ এইচএসসি ইত্যাদি বোর্ড পরীক্ষার্থীদের এই পরামর্শটি দিন।

© মেহেদী হাসান
প্রতিষ্ঠাতা, স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Monday, January 28, 2019

ঢাবি "খ" ইউনিটে ভর্তির স্বপ্ন পূরণ হয় না যেসব ভুলের কারণে!

শিক্ষা পরামর্শ


ঢাবি তে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার মূল কারণই হলো সচেতনতা এবং স্বচ্ছ ধারণার অভাবহেতু কোচিং এর ফাঁদে পড়ে সময় নষ্ট করা এবং সেইসঙ্গে স্মার্টলি পড়াশুনা করতে না পারা। আর কিছু ছোট কারণও আছে। সব মিলিয়ে বেশ কিছু কারণ আছে। কারণসমূহ নিম্নরূপ:

১. নিজে ভালো ছাত্র বলে অতিরিক্ত আশাবাদী হওয়া: আমি তো ভালো ছাত্র, আমার চান্স তো হবেই। এই ভেবে পড়াশুনায় সিরিয়াস না হওয়া। তারা এটা বুঝতে পারে না যে ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার মতো নয় যে এখানে অল্প পড়ার মধ্যে থেকে প্রশ্ন কমন আসবে।

২. আগের মতো আরাম আয়েশে দিন কাটানো। কিন্তু ভার্সিটি ভর্তি প্রস্তুতির জন্য দৈনিক ৮-১০ ঘণ্টা পড়াশুনা করতে হবে এবং স্মার্টলি।

৩. স্মার্টলি পড়াশুনা না করা, দৈনিক ৮ ঘণ্টা স্মার্টলি পড়াশুনা করলেই চান্স হবে আর হাদারামের মতো করে দিনে ১৬ ঘন্টা পড়াশুনা করলেও চান্স পাওয়া সম্ভব না। এজন্যই আমি আমার প্রাইভেটের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথম এক সপ্তাহ ধরে শেখাই কীভাবে স্মার্টলি পড়াশুনা করতে হয়।

৪. কোচিং এর ফাঁদে পড়া: নামী দামী কোচিংয়ে ভর্তি হওয়া, এবং এরূপ ধারণা করা যে আমি তো নামকরা কোচিংয়ে পড়ছি, মনেহয় এরা যা শেখাচ্ছে এই যথেষ্ট। কিন্তু আমি গবেষণা করে দেখেছি এদের ৪০-৪৮ টি শিট আর ইয়া মোটা গাইড বই হতে ঢাবি "খ" ইউনিটে ৩৫-৪০% এর বেশি প্রশ্ন কমন আসে না।

৫. আর একদল পাগল আছে যারা ঢাকায় আসে কোচিং করার জন্য। ঢাকায় কোনো কিছুই অন্য স্থানের চেয়ে বেশি ভালো পড়ানো হয় না; তারা বেশি ফি নেয় কারণ ঢাকায় বিল্ডিং এর ভাড়া ও টিচার খরচ বেশি এই জন্য। ঢাকায় সাধারণ ছাত্রদের জন্য কোনো ভালো কিছু নেই; সায়েন্সের উদ্ভাস ও রেটিনা ছাড়া অন্যসব কোচিং সেন্টারগুলো দুইটি কাজ করে— টাকার বিনিময়ে ভালো ছাত্রদের পরিচয় কিনে নেয় এবং তারা নটরডেম ও অন্যান্য কলেজের কিছু ভালো ছাত্রদের নিয়ে কয়েকটি স্পেশাল ব্যাচ বানিয়ে তাদেরকে আলাদাভাবে অনেক সময় নিয়ে পড়ায় আর এরা ০১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে সিরিয়ালে থেকে চান্স পেলে তাদের ছবি বিজ্ঞাপনে দেয়। এভাবে দেশজুড়ে ছাত্রদের মন ভুলিয়ে ভর্তি নেয় কিন্তু ভালো পড়ায় না।
আর এই ছাত্রদের ঢাকার পরিবেশে সেটআপ হতেই একমাস এর মতো সময় ব্যয় হয়ে যায়।

৬. ভালো বই না পড়ে শিট এর বিগত প্রশ্ন মুখস্থ করতে বেশি সময় দেওয়া। বিগত প্রশ্ন দেখে ধারণা নিতে হবে যে কেমন প্রশ্ন হয় কিন্তু এই বিষয়টা ঠিকমতো না বুঝে সময় নষ্ট করে লাভ নেই এটা বুঝতে হবে, কারণ এটা বোর্ডের পরীক্ষা নয় যে একই প্রশ্ন বারবার কমন আসবে।

৭. কৃষক না হয়ে ফসল ফলাতে চাওয়া: বেশিরভাগ ছাত্রই আছে যারা নিয়ম কানুন ও কৌশল না শিখে বিগত প্রশ্নের উত্তর কীভাবে হলো তা শিখতে চায়, কিন্তু এটা শিখে সর্বোচ্চ ওই প্রশ্নটির উত্তর করা সম্ভব। কিন্তু নিয়ম কনুন ও কৌশলগুলো শিখলে সব প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়া সম্ভব। কিন্তু সেটা করার মতো ধৌর্য এই ছাত্রগুলোর থাকে না।

৮. পেপার না পড়া: একদল ছাত্রের ধারণা পেপার এর কী দরকার, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়লেই তো হয়। কিন্তু এমন ৬০% ছুটখাট তথ্য আছে যেগুলো আমরা জানতাম না কিন্তু সাম্প্রতিক কোনো কারণে পেপারে এসেছে এবং স্মার্ট ছাত্র হিসেবে তা জানা দরকার, আর এসব তথ্য এমন কোনো বিশেষ সাম্প্রতিক ইস্যু নয় যে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এ তা আসবে, আর এসব পেপারে খুঁজতে গেলে একজন অনভিজ্ঞ ছাত্র তা অন্য দশটা অপ্রয়োজনীয় তথ্যের সঙ্গে একাকার করে ফেলবে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ভাইয়াদের সাহায্য প্রতিদিন নিতে হয় যা খুবই অসুবিধাজনক। পরীক্ষার্থীদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে আমি 'নিউজপেপার ডাইজেস্ট' সম্পাদনা করে আসছি।

৯. পেপার পড়তে ধরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ধরতে না পেরে সময় নষ্ট করে অহেতুক জিনিস পড়া।

১০. সহজ প্রশ্নের উত্তর ভুল করা: পরীক্ষায় সহজ প্রশ্নের উত্তর ভুল করা মানে প্রতিযোগিতা থেকে ছিঁটকে পড়া। একজন ছাত্র হয়তো খুব কঠিন একটা প্রশ্নের উত্তর করলো যেটা বেশিরভাগ ছাত্রই ভুল করেছে কিংবা পারেনি বলে উত্তর দেয় নি। কিন্তু সহজ একটি প্রশ্নের উত্তর ভুল করাতে সে মাইনাস মার্ক পেয়ে অনেকের পিছে পড়ে গেল।
এজন্যই আমি এ বিষয়ে ৪-৬টি ক্লাসে এটার কৌশলই শেখাই যেন কিছুতেই সহজ প্রশ্নের উত্তর ভুল না হয়।

আমি ফ্রি ক্লাস দেই এজন্য যে আমার স্বভাব হলো মানুষের উপকার করতে আমার ভালো লাগে; কিন্তু মানুষ এটাতে সায় দেয় না। কারণ, বাঙালির স্বভাব হলো ভালো জিনিস ফ্রি দিলে নিবে না কিন্তু মন্দ জিনিস সস্তায় দিলে তা নেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বে..।

© মোঃ মেহেদী হাসান
এমসিএএস গবেষক,
প্রতিষ্ঠাতা,
DU Kha Unit Admission Preparation Program (DUKUAPP)