স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস এর "শিক্ষা সচেতনতা" বিভাগে শিক্ষাক্ষেত্রের বিভিন্ন সচেতনতামূলক তথ্য পাবেন।
Tuesday, February 12, 2019
Tuesday, February 5, 2019
১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে ইউজিসির পরামর্শ!
উচ্চশিক্ষায় ভর্তিকে সামনে রেখে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সতর্ক করে মামলা-মোকদ্দমা, মালিকানায় দ্বন্দ্বসহ নানা সমস্যা থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। রোববার ইউজিসির ওয়েবসাইটে এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা থাকার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য ৫টি নতুন, যেগুলোতে এখনো ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক পরিচালক মোহাম্মদ সামছুল আলম বলেন, আমরা সতর্কতার জন্য এ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা এগুলো দেখে যেন ভর্তি হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-
ইবাইস ইউনিভার্সিটিতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। এ নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা আছে।
সরকার বন্ধ করলেও আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে চলছে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও কুইন্স ইউনিভার্সিটি। এর মধ্যে কুইন্সকে এক বছরের জন্য সাময়িকভাবে শর্তসাপেক্ষে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হলেও তারা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। এটিতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে মামলা চলছে।
অননুমোদিত ক্যাম্পাস চালাচ্ছে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং। এর মধ্যে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব ও আদালতে মামলা বিচারাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইবাইস ছাড়াও আছে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি।
পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি অনুমোদন পেলেও শিক্ষা কার্যক্রম বা ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়নি। এগুলো হলো; কুষ্টিয়ার রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-ঢাকা, কেরানীগঞ্জের রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের রূপায়ণ এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আনোয়ার খান মর্ডান ইউনিভার্সিটি। এগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় সরকার বন্ধ ঘোষণা করেছে।
আর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি না হতে কমিশন থেকে গত ২৬ এপ্রিল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিবাদী করে রিট দায়ের করলেও আদালত তা খারিজ করে দেন। পরে গণ বিশ্ববিদ্যালয় আবারও রিট করে। ইউজিসি জানিয়েছে আদালত থেকে মামলার আরজি উঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ৪ জুন আইনজীবীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ইউজিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা, ক্যাম্পাস, স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনার অনুমতি দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি। এ জন্য কোনো বিদেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে প্রতারণার শিকার না হতে সতর্ক করেছে ইউজিসি।
(সংগৃহীত)
ভালো থাকুন | School of Awareness
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি ডিফেন্সিভ পরামর্শ!
যারা একটু সেইরকম অবস্থানে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিবেন এবং পরীক্ষার সিট কোনো এক অখ্যাত/ নিম্নমানের স্কুল, কলেজে পড়বে তাদের জন্য এই উপদেশ।
একটি ক্লিববোর্ড (হার্ডবোর্ড) সঙ্গে নিয়ে যাবেন। যাদের লাইফে ভাগ্যের বিড়ম্বনা বেশি ঘটে তারা অবশ্যই এটি করবেন। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আমি যে অখ্যাত কলেজের যে ব্রেঞ্চে বসে এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বেরোবি'তে চান্স পেয়েছি সেই ব্রেঞ্চে বসে আমি ওএমআর শিটই পূরণ করতে পারতাম না, চান্স দূরে থাক, কারণ সেই ব্রেঞ্চের স্ল্যাটের উপরটা ছিল উইপোকায় খাওয়া স্থান যা তাল গাছের বাকলের মতো অমসৃণ। পেরেছি কারণ আমি এডমিশনের সময় সকল পরীক্ষায় ক্লিপবোর্ড সঙ্গে নিয়ে যেতাম।
আর যদি পরীক্ষার সিট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরেই পড়ে কিংবা শহরের নামকরা স্কুল-কলেজে পড়ে তাহলে এর দরকার হবে না, সেখানে সবকিছু ঠিকঠাক মতোই থাকবে।
ফেসবুকে এই পোস্টটিতে একজন মন্তব্য করেছিল— ভাই, পরীক্ষার হলে তো ক্লিপবোর্ড ব্যবহার করতে দেয় না।
আরে ভাই, যেসব স্থানে ক্লিপবোর্ড ব্যবহারের দরকার নাই শেখানে তো দিবেই না। আমি তো বলেই দিয়েছি যাদের পরীক্ষার সিট নিম্নমানের প্রতিষ্ঠানে পড়বে ও নিজের ভাগ্যের বিড়ম্বনাময় বৈশিষ্ট্য আছে শুধু তারাই এটা করতে পারেন।
আর পৃথিবীটা এখনও এতোটা অমানবিক হয়ে যায়নি যে শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত লোকেরা তোমার অসুবিধাটা বুঝবে না। হয়তো প্রথমে তারা ফোন জমা নেওয়ার মতে ক্লিপবোর্ডও জমা নিয়ে সিটে বসতে দিবে, আর যদি একান্তই সেই জাতীয় সমস্যা হয় তাহলে সাহায্য চাইবে; তারা অবশ্যই তোমার সমস্যাটি বিবেচনা করে তা সমাধান করবে। তার দৃষ্টান্ত আমি নিজেই।
ভালো থাকুন | School of Awareness
Friday, February 1, 2019
বোর্ড পরীক্ষার খাতা হাতে পাওয়ামাত্র চেক করে দেখো ভেতরে কোনো পাতা ছেঁড়া-ফাটা আছে কি না!
SSC, HSC ও অন্যান্য বোর্ড পরীক্ষার খাতা তোমার হাতে পাওয়ামাত্র খাতাটির সবগুলো পাতা দ্রুত চেক করে দেখো ভেতরে কোনো পাতা ছেঁড়া-ফাটা আছে কি না! কারণ অনেক সময় দেখা যায় ভেতরে এরূপ ছেঁড়া পাতাওয়ালা খাতায় পরীক্ষা দিলে পরীক্ষা প্রশাসন পরবর্তীতে তা প্রত্যক্ষ করলে এটাকে অসদুপায় হিসেবে বিবেচনা করে তোমার খাতাটি বাতিল করতে পারে; অথচ সেখানে তুমি নির্দোষ ছিলে। আর এর ফলে তুমি ওই বিষয়টিতে ফেল করবে।
এক্ষেত্রে তুমি কোনো আইনগত সুবিধা পাবে না। তাই একমাত্র সচেতনতাই পারে এই দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে।
আর এরূপ হলে সঙ্গে সঙ্গে ওই খাতাটি ফেরৎ দিয়ে কক্ষ পরিদর্শক এর কাছ থেকে অন্য একটি ফ্রেস খাতা নিবে। আমি ২০০৯ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সময় এই সমস্যায় পড়েছিলাম। খাতার উপরে রোল-রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য তথ্য পূরণ করার পর কয়েকটা পাতা মার্জিন দেওয়ার পর দেখি পরপর দুইটা পাতা আধাছেঁড়া। এমনভাবে আলতো হয়ে আটকে আছে দেখে মনে হবে অন্য পাতা আঠা দিয়ে কোনোমতে জোড়া দেওয়া হয়েছে; ছেঁড়া টাকায় আঠা লাগিয়ে কোনোমতে জোড়া লাগানোর মতো আর কী। আমি যখন এটি কক্ষ পরিদর্শককে জানালাম তখন দুইজন কক্ষ পরিদর্শক এটা নিয়ে আলোচনা করতে লাগলো; শেষে তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে কেন্দ্রের ইন্সপেক্টকে বিষয়টি জানালো ও পরে আমাকে অন্য একটি ফ্রেস খাতা দেওয়া হলো; আমি আবার সেটাতে রোল-রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি পূরণ করে পরীক্ষা দেওয়া শুরু করলাম। এতে আমি সম্ভাব্য দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলাম কিন্তু এর ফলে আমার যে পনেরো মিনিটের মতো সময় অযথা ব্যয় হলো তার তো সমাধান পেলাম না। তাই তোমরা পরীক্ষার হলে খাতা হাতে পাওয়ামাত্র দ্রুত খাতার পাতাগুলো চেক করে দেখবে, আর এরূপ কোনো সমস্যা হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিবে।
Note: লেখাটি কপি-পেস্ট করে তথ্যটি শেয়ার করুন পাশাপাশি আপনার আশেপাশের এসএসসি/ এইচএসসি ইত্যাদি বোর্ড পরীক্ষার্থীদের এই পরামর্শটি দিন।
© মেহেদী হাসান
প্রতিষ্ঠাতা, স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস।
ভালো থাকুন | School of Awareness
Subscribe to:
Posts (Atom)